রবীন্দ্রনাথের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ যখন শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন, তা ছিল রুক্ষ প্রান্তর, খোয়াই পূর্ণ। গত শতাধিক বছর ধরে শান্তিনিকেতনের বাহ্যিক রূপের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। যদিও তার অন্তরের রূপ বা ভাবনায় এখনো প্রতিষ্ঠাতা ও তাঁর কবিপুত্রের আদর্শের অনুরণন ‘মউল’ এর পরিবারের সদস্যরা রবীন্দ্র আদর্শে অনুপ্রাণিত। তারা প্রত্যেকেই, প্রাক্তন ও বর্তমান উভয়েই বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রী।
প্রকৃতি মানেই সবুজ আর সবুজ মানেই শান্তিনিকেতন। প্রকৃতির কাছাকাছি এসে যদি এমন বাড়িতে থাকার সুযোগ পাওয়া যায় যেখানে নেই কোন শহরের কোলাহল, তাহলে মন্দ কী বলুন?
‘মউল হোম স্টে’ মৌসুমি সবজি এবং ফল যেমন হিমসাগর, ল্যাঙড়া, চৌসা বিভিন্ন ধরনের আম, দার্জিলিংয়ের কমলালেবু, পাতিলেবু, অ্যাভোকাডো ফলের বাগানে ঘেরা আবাস। আবার তাদের মাঝে আপনি যখন থাকবেন, আর পাখিরা থাকবে না, তা কি হয়?
নিস্তব্ধ সকালে গাছে গাছে সপরিবারে বুলবুলি, টিয়া, টুনটুনি, মৌটুসী, হাঁড়িচাচা, বসন্তবৌরি আরও অনেক, সে বলে শেষ করা যায় না। তাদের ডাকে হবে আপনার সকালের সকালের চোখমেলা। এদের মধ্যে অনেকেই এই বাড়ির চিরস্থায়ী বাসিন্দা এদের সঙ্গ পেতে আপনাকে ‘মউল’ – এ আসতেই হবে।
এতো গেল আপনি যাদের সঙ্গে থাকবেন, কিন্তু কোন ঘরে থাকবেন তার ও আপনার কাছে রয়েছে অনেকগুলি বিকল্প। ‘মউল – হোম স্টে’ তে আছে সুদীর্ঘ অনেক গুলি ঘর, যার প্রতিটি ঘরে বড় বড় জানালা।
‘মউল’ এর একটি ঘর ‘সূর্যশিশির’। সুদীর্ঘ জানালা থেকে দেখা যায় চাঁদনি রাত ও শীতকালের সকাল-সন্ধ্যায় পরিযায়ী পাখির আনাগোনা। এই সকল দৃশ্য তখনই দেখতে পাওয়া যাবে যখন জানলার পর্দা সরে যাবে।
হাঁটাপথে 10 মিনিটে শান্তিনিকেতনে আশ্রম এলাকা, উত্তরায়ন। টোটোতে সোনাঝুরি যেতে মাত্র 15 মিনিট। সকালে এই সোনাঝুরির বন ও ‘খোয়াই’ এর দৃশ্য অপূর্ব। বেলা বাড়তে বাড়তে শুরু হয়ে যায় কুটির শিল্পের সমাহার, যা সোনাঝুরি হাট বা খোয়াই হাট নামে পরিচিত। এখান থেকে 10 থেকে 15 মিনিটে পাওয়া যাবে কোপাই নদীর তীরে আবার কুটির শিল্পের বিপনী ‘আমার কুটির’। নিশ্চিন্তে ছুটি কাটানোর নতুন ঠিকানা ‘মউল – হোম স্টে’ – সকলের সাদর আমন্ত্রণ রইল।